২০২২
সাল থেকে এসএসসি বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার বিষয় বাদ
দেওয়ার প্রস্তাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেছেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন
বাংলাদেশ’-এর আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এযাবৎ গঠিত ৭টি
শিক্ষা কমিশনের প্রতিটিতেই ‘ইসলামী শিক্ষা’ সংকোচনের চেষ্টা করা হয়েছে।
কিন্তু ইসলামী জনতার দিকে তাকিয়ে কোন সরকারই তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরং
উল্টা বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের অপচেষ্টায় ডারউইনের
নাস্তিক্যবাদী ‘বিবর্তনবাদ’ ২০১২ সাল থেকে স্কুল-কলেজে এবং ২০১৩ সাল থেকে
মাদ্রাসা সমূহের সিলেবাস ভুক্ত করা হয়েছে। সকল মহল থেকে হাযারো প্রতিবাদ
সত্ত্বেও সরকার আজও এই ‘বানরবাদী’ বিষয় সিলেবাস থেকে প্রত্যাহার করেনি।
ইতিমধ্যে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে ১০০ নম্বর থেকে ৫০ নম্বরে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এখন সেটি বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ শে জুন ‘জাতীয়
শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ (এনসিটিবি)-র প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
‘ইসলামী শিক্ষা’কে পাঠ্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলা হ’লেও এটি বোর্ড ফাইনাল
পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের আবশ্যিক বিষয় হিসাবে থাকবে কি না, সে সম্পর্কে কিছুই
বলা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, অনতিবিলম্বে
মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ‘ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়কে
১০০ নম্বরের আবশ্যিক বিষয় হিসাবে ঘোষণা দিন। সাথে সাথে ‘বিবর্তনবাদ’কে
স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার সিলেবাস থেকে প্রত্যাহার করুন!
(দৈনিক ইনকিলাব, ১৮ই জুলাই’২২, ৮ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত)।