হীলা-বাহানার ফাঁদে ইসলামী অর্থনীতি

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ يُّرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِى الدِّينِ وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِى- ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন। আর আমি (ইলম) বণ্টনকারী ও আল্লাহ হ’লেন দাতা’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২০০)

يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ، অর্থ وَيُلْهِمْهُ رُشْدَهُ ‘আল্লাহ তার উপর সঠিক বুঝ ইলহাম করেন’। وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ অর্থ قَاسِمٌ لِلْعِلْمِ ‘ইলম বণ্টনকারী’ (মিরক্বাত)। আর এই ইলম হ’ল অহি-র ইলম। যার আলোকে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। وَاللهُ يُعْطِى الْفَهْمَ فِي الْعِلْمِ بِمَبْنَاهُ وَالتَّفَكُّرَ فِي مَعْنَاهُ وَالْعَمَلَ بِمُقْتَضَاهُ، ‘আল্লাহ তাকে দ্বীনের ভিত্তি জানা এবং তার তাৎপর্য অনুধাবন করা ও তার চাহিদা অনুয়ায়ী কাজ করার বুঝ দান করেন (মিরক্বাত)। পরবর্তীকালের ফকবীহগণ দু’ভাগে বিভক্ত। একদল ফক্বীহ মুৎলাক্ব। যেমন চার ইমামসহ অন্যান্য ইমামগণ। আর একদল ফক্বীহুল মাযহাব। যারা স্ব স্ব মাযহাব বিষয়ে অভিজ্ঞ। বর্তমানে বাংলাদেশে যারা ফক্বীহ বলে পরিচিত, তারা মূলতঃ হানাফী মাযহাবের ফক্বীহ। বাকী তিন মাযহাবের ফক্বীহ রয়েছে অন্যান্য দেশে। যদিও কেউ কেউ দাবি করেছেন যে, চার ইমামের পর ইজতিহাদের দুয়ার বন্ধ এবং চার ইমামের যে কোন একজনের তাক্বলীদ করা ওয়াজিব’।[1] 

পক্ষান্তরে আহলেহাদীছগণ সর্বাবস্থায় কিতাব ও সুন্নাতের নিঃশর্ত ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে বিশ্বাস পোষণ করেন। তারা মুসলিম উম্মাহ্কে সকল দিক হ’তে মুখ ফিরিয়ে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে যাওয়ার আহবান জানিয়ে থাকেন। তাদের এই বৈশিষ্ঠ্য ও মূলনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিসরীর পন্ডিত আবু যুহ্রা বলেন, ‘সালাফীগণ যুক্তির উপরে নির্ভর করেন না। কেননা যুক্তি অনেক সময় ভ্রান্ত হয়। বরং তাঁরা সর্বদা নির্ভর করেন নছ্ ও দলীলের উপরে অথবা ঐসবের উপরে যে দিকে দলীল ইঙ্গিত প্রদান করে। কারণ দ্বীন হ’ল অহি, যা আল্লাহর নবী প্রাপ্ত হয়েছিলেন।’...তাদের মতে জ্ঞান অহি-র সাক্ষ্যদাতা হবে, হুকুমদাতা নয়। অহিকে প্রতিষ্ঠাকারী ও সাহায্যকারী হবে, ভঙ্গকারী বা প্রত্যাখানকারী নয়।... জ্ঞান হবে অহির দলীল সমূহকে স্পষ্টকারী’।[2]

এক্ষণে দরসে বর্ণিত হাদীছের আলোকে আমরা নিম্নের বিষয়গুলিতে আলোকপাত করব। যেখানে দেখা যাবে যে, কুরআন ও সুন্নাহর সার্বভৌম অধিকার ক্ষুন্ন করে নিজস্ব রায় ও মাযহাবী সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিয়ে কিভাবে ইসলামের কল্যাণমূলক অর্থনীতিতে ধস নামানো হয়েছে। যেমন,

(১) বলা হয়ে থাকে যে, একই জমিতে খাজনা ও ওশর একত্রিত হবে না। অতএব খাজনার জমিতে ওশর নেই’।[3] দলীল হিসাবে বলা হয়, আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, لاَ يَجْتَمِعُ عَلَى الْمُسْلِمِ خَرَاجٌ وَعُشْرٌ- ‘কোন মুসলিমের উপর খাজনা ও ওশর একত্রিত হবে না’।[4] হাদীছটি সম্পর্কে ইমাম বায়হাক্বী বলেন,فَهَذَا حَدِيثٌ بَاطِلٌ وَصَلُهُ وَرَفْعُهُ ‘হাদীছটির সনদ সংযুক্ত হওয়া এবং মারফূ‘ হওয়া দু’টিই বাতিল’।[5]

মায়মূন বিন মিহরান বলেন, আমি খলীফা ওমর বিন আব্দুল আযীযকে দু’বার জিজ্ঞেস করলাম, খারাজী জমিতে ওশর আছে কি? তিনি দু’বারই উত্তর দিলেন,الْخَرَاجُ عَلَى الأَرْضِ وَفِى الْحَبِّ الزَّكَاةُ- ‘খাজনা হ’ল জমির উপর এবং ওশর হ’ল উৎপন্ন ফসলের উপর’।[6]

এতে বুঝা যায় যে, খাজনা হ’ল ভূমিকর। যা সর্বাবস্থায় দিতে হয়। কিন্তু ওশর হ’ল উৎপন্ন ফসলের যাকাত। যা নেছাব পরিমাণ হ’লে দিতে হয়, নইলে নয়। অতএব দু’টি কখনো এক নয়। দেশের সমস্ত জমিই ভূমিকরের আওতাভুক্ত। যার পরিমাণ স্তর ভেদে বিঘা প্রতি খুবই কম। অথচ ওশরের পরিমাণ অনেক বেশী। এক্ষণে বিঘা প্রতি বছরে একবার সামান্য ভূমিকর দিয়ে ১ ফসল বা ৩ ফসলে এক বা তিনবার ওশর থেকে গরীবকে মাহরূম করা হচ্ছে একটি ভিত্তিহীন ফৎওয়ার মাধ্যমে। তাহ’লে কিভাবে দারিদ্র্য বিমোচন হবে? অথচ দেশের মোট উৎপন্ন ফসলের এক দশমাংশ ওশরই যথেষ্ট দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীভূত করার জন্য।

(২) (ক) যদি কেউ যাকাত ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তার সম্পদ স্ত্রী বা অন্যকে ‘হেবা’ করে দেয়, তাহ’লে ইমাম আবু হানীফা ও শাফেঈর মতে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না। তবে সে গোনাহগার হবে।[7]

(খ) যদি কেউ বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন পূর্বে তার শিশু সন্তানকে সমস্ত মাল হেবা করে দেয়, তাহ’লে মালিকানা না থাকার কারণে সকল বিদ্বানের ঐক্যমতে তার উপরে যাকাত নেই। যদিও এটি একটি কৌশল মাত্র।[8]

(গ) ইমাম গাযালী বলেন, বর্ণিত আছে যে, (খলীফা হারূণুর রশীদের প্রধান বিচারপতি) ক্বাযী আবু ইউসুফ (১১৩-১৮২ হি.) বছর শেষে তার সমস্ত মাল তার স্ত্রীকে হেবা করে দিতেন। অতঃপর তার নিকট থেকে পুনরায় হেবা করে নিতেন যাকাত না দেওয়ার জন্য(إسقاطاً للزكاة) । একথা তার উস্তাদ ইমাম আবু হানীফাকে বলা হ’লে তিনি বলেন, এটি তার ফিক্বহ (ذلك من فقهه)’। অর্থাৎ তার নিজস্ব বুঝ।

অথচ এই বুঝ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ সমূহের বিপরীত। কেননা কুরআনে বলা হয়েছে,وَآتُوا حَقَّهُ يَوْمَ حَصَادِهِ، ‘তোমরা ফসলের হক (ওশর) আদায় কর ফসল কাটার দিন’ (আন‘আম ৬/১৪১)। অতঃপর ছহীহ হাদীছ সমূহে এসেছে যে, প্রতি পাঁচ অসাক্ব উৎপন্ন শস্যে এক অসাক্ব ওশর রয়েছে’।[9] ১ অসাক্ব সমান ৬০ ছা‘। ৫ অসাক্ব সমান ৬০×৫ = ৩০০ ছা‘। আর মাদানী ১ ছা‘ সমান এদেশের ২.৫ কেজি চাউল ধরা হ’লে ৩০০ ছা‘ সমান ৩০০×২.৫ = ৭৫০ কেজি চাউল। নদী বা বৃষ্টির পানিতে এই পরিমাণ হ’লে ১০ ভাগের ১ ভাগ। আর সেচের পানিতে হ’লে ২০ ভাগের ১ ভাগ। 

সম্ভবতঃ সে কারণেই ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেন, কথা ঠিক। তবে এটি তার (অর্থাৎ আবু ইউসুফের) দুনিয়াবী ফিক্বহ। কিন্তু তার আখেরাতের জন্য ক্ষতিকর এবং যা যেকোন গোনাহের চাইতে বড় গোনাহ। আর এরূপ ইলম নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর ইলম (গাযালী, এহইয়াউ উলূমিদ্দীন ১/১৮)

(৩) যাকাতুল ফিৎর :

বলা হয়ে থাকে, যে ব্যক্তি ছাহেবে নেছাব নয়, তার উপর ফিৎরা ফরয নয়। যেমনটি বলে থাকেন, আছহাবুর রায় হানাফী বিদ্বানগণ।[10] এর পরেও বলা হচ্ছে, তাকে মাত্র অর্ধ ছা‘ গমের ফিৎরা দিতে হবে।[11] অথচ ছহীহ হাদীছ সমূহে পরিষ্কারভাবে ‘খাদ্যবস্ত্ত’ দিয়ে ফিৎরা আদায়ের কথা বলা হয়েছে।[12] অতএব যে দেশে যেটি প্রধান খাদ্য তাই দিয়ে ফিৎরা দিতে হবে।

উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ)-এর যুগে মদীনায় গম ছিলনা। পরবর্তীতে মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর খেলাফতকালে (৪১-৬০ হি.) যখন সিরিয়া থেকে মদীনায় গম আমদানী হয়, তখন মদীনার ১ ছা‘ খেজুর-যব ইত্যাদির বিপরীতে উচ্চ মূল্যের হিসাবে মু‘আবিয়া (রাঃ) নিজ ইজতিহাদ অনুযায়ী অর্ধ ছা‘ গমের কথা বলেন। কিন্তু ছাহাবীগণ তা মানেননি এবং মু‘আবিয়া (রাঃ) এজন্য কোন চাপ দেননি। তাছাড়া ছহীহ হাদীছ মওজূদ থাকতে ‘ইজতিহাদ’ গ্রহণযোগ্য নয়। সেকারণ ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, মু‘আবিয়ার রায় অনুযায়ী অর্ধ ছা‘ গমের ফিৎরা দানের মধ্যে ত্রুটি রয়েছে। কেননা এটি একজন ছাহাবীর বক্তব্য। যার বিরোধিতা করেছেন আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) ও অন্যান্য ছাহাবীগণ।[13] অতএব যারা বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য চাউল বাদ দিয়ে অর্ধ ছা‘ গমের ফিৎরা দেন, তারা ছহীহ হাদীছকে অগ্রাহ্য করেন এবং মু‘আবিয়ার রায় অনুযায়ী ফিৎরা দিয়ে থাকেন। যা আল্লাহর নিকট কবুল হবে কি-না, তাদের ভেবে দেখা উচিৎ।

এক্ষণে যার পরিবারে একদিনের খাদ্য মওজূদ আছে এবং মাথা পিছু এক ছা‘ পরিমাণ খাদ্য প্রদানের ক্ষমতা আছে, এরূপ ছোট-বড়, ধনী-গরীব সকল মুসলিম নর-নারীর উপরে যাকাতুল ফিৎর ফরয’।[14] এর জন্য ‘ছাহেবে নিছাব’ অর্থাৎ সাংসারিক প্রয়োজন সমূহ বাদে ২০০ দিরহাম তথা সাড়ে ৫২ ভরি রৌপ্য কিংবা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের মালিক হওয়া শর্ত নয়। এটি ফরয ছাদাক্বা। যা আদায় না করলে তার উপর ঋণ হিসাবে থেকে যাবে, যা শেষ বয়সে হ’লেও তাকে পরিশোধ করতে হবে।[15]

অথচ বাস্তবতা এই যে, একটি গ্রামে ছাহেবে নেছাবের সংখ্যা খুবই কম। এমনকি নেই বললেও চলে। তাহ’লে ফিৎরা দিবে কারা? এভাবে ভুল ফৎওয়া দিয়ে ফিৎরার ফরয যাকাতকে অকার্যকর করা হয়েছে। তাহ’লে ইসলামী অর্থনীতির মাধ্যমে কিভাবে দেশের দারিদ্র্য দূরীভূত হবে? বরং এইসব ফৎওয়া নিঃসন্দেহে পুঁজিবাদী অর্থনীতির সহায়ক।

(৪) ‘কুরবানী ও আক্বীক্বা দু’টিরই উদ্দেশ্য আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করা’ এই (ইসতিহসানের) যুক্তি দেখিয়ে অনেক হানাফী বিদ্বান কুরবানীর গরুতে এক বা একাধিক সন্তানের আক্বীক্বা সিদ্ধ বলে মত প্রকাশ করেছেন (যা এদেশে অনেকের মধ্যে চালু আছে)।[16] উপরোক্ত ফৎওয়া অনুসরণের সামাজিক ফলাফল দাঁড়াবে এই যে, এর ফলে ৬টি ছেলের আক্বীক্বার জন্য ১২টি ছাগল এবং কুরবানীর জন্য একটি ছাগল সহ মোট ১৩টি ছাগলের স্থলে ১টি ছোট-খাট গরু দিয়েই সব দায় শোধ করা যাবে। এর পরেও রয়েছে ইব্রাহীমী সুন্নাত এবং মুহাম্মাদী সুন্নাত অনুযায়ী মুক্বীম অবস্থায় প্রতি পরিবারের পক্ষ হ’তে একটি ছাগল বা একটি গরু কুরবানীর বদলে ৭ জনে মিলে একটি গরু কুরবানীর ভুল প্রথা। এর মধ্যে ধনিক শ্রেণীর জন্য সুবিধা আছে। কিন্তু গরীব শ্রেণীর জন্য রয়েছে বঞ্চনা। কেননা ১৩টি ছাগলের সব চামড়া এবং কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ গোশতের হকদার ছিল গরীবেরা। তা থেকে তাদের মাহরূম করা হ’ল একটি ফৎওয়ার মাধ্যমে। যার পিছনে কুরআন ও সুন্নাহর স্পষ্ট কোন দলীল নেই। এটি পুঁজিবাদী অর্থনীতির সহায়ক। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী। অতএব এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

(৫) ব্যবহৃত অলংকারের যাকাতের বিষয়ে চার ইমামের মধ্যে মতভেদের কথা বর্ণিত হয়েছে। হানাফী মাযহাবে এটি ওয়াজিব বলা হয়েছে। মালেকী, শাফেঈ ও হাম্বলী তিন মাযহাবে ওয়াজিব নয় বলা হ’লেও প্রত্যেকেরই দ্বিতীয় কওল ওয়াজিবের পক্ষে এসেছে। এতে বুঝা যায় যে, ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে তাদের মধ্যে মতভেদ নেই। আর এটাই ছহীহ হাদীছ সমূহের অনুকূলে। যেসব হাদীছ ইতিপূর্বে উল্লেখিত হয়েছে। এক্ষণে যদি কেউ ছহীহ হাদীছ সমূহকে অগ্রাহ্য করে মাযহাবী ইখতিলাফের সুযোগ নিয়ে অলংকারের যাকাত ফাঁকি দিতে চান এবং ধনিক শ্রেণী যদি তাদের সব সম্পদ অলংকার বানিয়ে বাড়িতে বা ব্যাংকে সঞ্চিত রাখেন, তাহ’লে গরীব শ্রেণী বঞ্চিত হবে এবং ইসলামী অর্থনীতি ফাঁকা বুলি হয়ে দাঁড়াবে। অথচ আল্লাহ বলেছেন,وَفِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ- ‘ধনীদের সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে’ (যারিয়াত ৫১/১৯; মা‘আরিজ ৭০/২৪-২৫)

মন্তব্য : ইসলামী অর্থনীতির মূল স্তম্ভ যাকাত-ওশরকে এবং ছাদাক্বাতুল ফিৎর ও কুরবানীকে যদি এভাবে কৌশলের মাধ্যমে এড়িয়ে যাওয়া হয়, তাহ’লে ইসলামের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবী স্রেফ ফাঁকা বুলি হয়ে দাঁড়াবে। সেই সাথে ইসলামী অর্থনীতির বরকত থেকে সমাজ বঞ্চিত হবে। অতএব সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রধান উপায় হবে, (১) ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতি চালু করা। (২) রাষ্ট্রীয় বা বিশ্বস্ত ইসলামী সংগঠন ও সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে বায়তুল মাল সংগ্রহ ও বণ্টনের ব্যবস্থা করা। (৩) হারামের পথ সমূহ বন্ধ করা এবং হালালের পথসমূহ উন্মুক্ত করা। (৪) ‘কর্যে হাসানা’ প্রকল্প চালু করা। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!


[1]. ফাওয়াতেহুর রাহমূত শরহ মুসাল্লামুছ ছুবূত ৬২৪ পৃ.; থিসিস ১৯৬ পৃ.

[2]. মুহম্মাদ আহমাদ আবু যুহরা, আল-মাযাহিবুল ইসলামিইয়াহ অধ্যায়(السلفيون), শিরোনাম :(منهاج هؤلاء السلفيين)পৃ. ৩১৫-১৬; থিসিস ১৪৪-৪৫ পৃ.।

[3]. হেদায়া শরহ দেরায়াহ (দেওবন্দ ছাপা) ২/৫৯৩ পৃ.; ঐ, শরহ, বিদায়াতুল মুবতাদী (বৈরূত ছাপা) ২/৪০০; কাসানী হানাফী, বাদায়ে‘উছ ছানায়ে‘ ২/৫৭ পৃ.।

[4]. হেদায়া শরহ দেরায়াহ ২/১৩২ মাসআলা ক্রমিক ৭৩৬; বায়হাক্বী ৪/১৩২ পৃ., হা/৭৭৪৮।

[5]. বায়হাক্বী ৪/১৩২ পৃ.

[6]. বায়হাক্বী ৪/১৩২ পৃ.

[7]. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৮২ ‘যাকাত থেকে পলায়ন’ অনুচ্ছেদ।

[8]. ইবনু ‘আবেদীন, রাদ্দুল মুহতার শরহ দুর্রুল মুখতার (বৈরূত : ২য় সংস্করণ, ১৪১২ হি.) ২/৩০৮ পৃ.।

[9]. বুখারী হা/১৪৮৪

[10]. হেদায়া (দেওবন্দ ছাপা) ২/২০৮ পৃ.; ঐ, শরহ বিদায়াতুল মুবতাদী (বৈরূত ছাপা) ১/১১৩; ইবনু কুদামা, মুগনী ৩/৯৪, মাসআলা ক্রমিক ১৯৭৬; মির‘আত ৬/১৯০ পৃ.।

[11]. হেদায়া (দেওবন্দ ছাপা) ২/২১০ পৃ.; ঐ, শরহ বিদায়াতুল মুবতাদী (বৈরূত ছাপা) ১/১১৪ পৃ.;

[12]. বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৮১৬

[13]. ফাৎহুল বারী হা/১৫০৮-এর আলোচনা, ৩/৪৩৭ পৃ.

[14]. বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৮১৫

[15]. ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৮৫-৮৬ পৃ.; মির‘আত ৬/১৮৭ পৃ.

[16]. আশরাফ আলী থানভী (১২৮০-১৩৬২ হি./১৮৬৩-১৯৪৫ খৃ.), থানাভবন, উত্তর প্রদেশ, ভারত, বেহেশতী জেওর, অনুবাদক : শামছুল হক ফরিদপুরী (১৮৯৬-১৯৬৯ খৃ.), (ঢাকা : এমদাদিয়া লাইব্রেরী, ১০ম মুদ্রণ ১৯৯০ খৃ.) ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায়, মাসআলা-২, ১/৩০০ পৃ.।