কথা ও কাজ

عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولَ اللهِ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- يُجَاءُ بِالرَّجُلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْقَى فِى النَّارِ، فَتَنْدَلِقُ أَقْتَابُهُ فِى النَّارِ، فَيَدُورُ كَمَا يَدُورُ الْحِمَارُ بِرَحَاهُ، فَيَجْتَمِعُ أَهْلُ النَّارِ عَلَيْهِ، فَيَقُولُونَ أَىْ فُلاَنُ، مَا شَأْنُكَ أَلَيْسَ كُنْتَ تَأْمُرُنَا بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ قَالَ كُنْتُ آمُرُكُمْ بِالْمَعْرُوفِ وَلاَ آتِيهِ، وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَآتِيهِ، (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)-

অনুবাদ :

উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন যে, ক্বিয়ামতের দিন জনৈক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। আগুনে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে যাবে। তখন সে ঐ নাড়ী-ভুঁড়ির চারদিকে ঘুরতে থাকবে। যেমনভাবে গাধা ঘানির চারদিকে ঘুরতে থাকে। এই অবস্থা দেখে জাহান্নামবাসীরা তার চারপাশে জড়ো হবে ও তাকে লক্ষ্য করে বলবে, হে অমুক! তোমার একি অবস্থা? তুমি না সর্বদা আমাদেরকে ভাল কাজের উপদেশ দিতে ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতে? তখন লোকটি জওয়াবে বলবে, আমি তোমাদেরকে ভাল কাজের আদেশ করতাম। কিন্তু নিজে তা করতাম না। আমি তোমাদেরকে মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতাম। কিন্তু আমি নিজেই সে কাজ করতাম’।[1]

হাদীছের ব্যাখ্যা :

হাদীছটিতে মুসলিম উম্মাহর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা রয়েছে। হাদীছটি সকলের জন্য সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য হ’লেও বিশেষভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দানকারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট হেদায়াত রয়েছে। কারণ সমাজের ভাঙ্গা ও গড়া অনেকাংশে নির্ভর করে সমাজ নেতাদের উপরে। কিন্তু যে সমাজে অসৎ ও মুনাফিক নেতৃত্ব রয়েছে, সে সমাজ অপেক্ষাকৃত মন্দ ও দুষ্কৃতিপরায়ণ। আর নেতাদের দুষ্কৃতির কারণেই পুরা সমাজের উপরে আল্লাহর গযব নেমে আসে। যেমন আল্লাহ বলেন,وَإِذَا أَرَدْنَا أَنْ نُهْلِكَ قَرْيَةً أَمَرْنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا فِيهَا فَحَقَّ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَمَّرْنَاهَا تَدْمِيرًا- ‘যখন আমরা কোন জনপদকে ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন আমরা সেখানকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নির্দেশ দেই। তখন তারা সেখানে পাপাচারে মেতে ওঠে। ফলে তার উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে যায়। অতঃপর আমরা ওটাকে বিধ্বস্ত করে দেই’ (বনু ইস্রাঈল ১৭/১৬)। অন্য আয়াতে স্পষ্টভাবে কেবল নেতাদের কথা বলা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন,وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا فِي كُلِّ قَرْيَةٍ أَكَابِرَ مُجْرِمِيهَا لِيَمْكُرُوا فِيهَا وَمَا يَمْكُرُونَ إِلاَّ بِأَنْفُسِهِمْ وَمَا يَشْعُرُونَ- ‘আর এভাবেই আমরা প্রত্যেক জনপদের শীর্ষ পাপীদের অনুমতি দেই যাতে তারা সেখানে চক্রান্ত করে। অথচ এর দ্বারা তারা কেবল নিজেদেরকেই প্রতারিত করে। কিন্তু তারা তা বুঝতে পারে না’ (আন‘আম ৬/১২৩)

কথা ও কাজের অমিল যদি ইচ্ছাকৃত হয়, তবে সেটাই সবচেয়ে বড় গোনাহ হিসাবে আল্লাহর নিকটে পরিগণিত হয়। যেমন তিনি বলেন,يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لاَ تَفْعَلُونَ- كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لاَ تَفْعَلُونَ- ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা তোমরা কর না?’ ‘আল্লাহর নিকটে বড় ক্রোধের বিষয় এই যে, তোমরা বল এমন কথা যা তোমরা কর না?’ (ছফ ৬১/২-৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হাতে ইসলামের বায়‘আত গ্রহণ করার পরেও একদল লোক তাঁর প্রকাশ্য ও গোপন বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছিল। এরাই ‘মুনাফিক’ বলে খ্যাত। যাদের চক্রান্ত সম্পর্কে অবহিত করে পবিত্র কুরআনে ‘মুনাফিকূন’ নামে একটি পৃথক সূরা নাযিল হয়েছে। ইসলামের অগ্রগতিতে এরাই ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা। ‘অহি’ মারফত এদের যাবতীয় অপতৎপরতা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অবহিত হ’তেন। তবুও বাহ্যিকভাবে তারা মুসলমান হওয়ার কারণে কঠোর শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা তিনি নিতে পারতেন না। যদিও ওমর ফারূক (রাঃ) কয়েকবার তাদেরকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন।

আজও একই সমস্যা বিরাজ করছে। ইসলামী আন্দোলন হৌক আর বস্ত্তবাদী আন্দোলন হৌক সর্বত্র কথা ও কাজের অমিল প্রকটভাবে পরিদৃষ্ট হয়। এর ক্ষতি স্তরবিশেষে কমবেশী হয়। সাধারণ নেতাদের ভুলে সাধারণ ক্ষতি হয়। কিন্তু জাতীয় নেতাদের ভুলে জাতীয় ক্ষতি হয়। অনুরূপ বিশ্বনেতাদের ভুলে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া হয়। তাই স্ব স্ব স্তরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের স্ব স্ব দায়িত্ব বোধ নিয়ে কাজ করা অত্যন্ত যরূরী।

বিশেষ করে যারা সমাজে ইসলামের বাস্তব প্রতিফলন দেখতে আগ্রহী, তাদেরকে এ বিষয়ে সবচেয়ে হুঁশিয়ার হওয়া কর্তব্য। যেন নিজেদের কথা ও কাজে মিল থাকে। মুখে বলছি কুরআন ও সুন্নাহর আইন চাই। অথচ নিজের আমল ও আচরণে তার কোন প্রতিফলন নেই। নিজ পরিবার ও কর্মস্থলে তার কোন বাস্তবায়ন নেই। এটা নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধের শামিল। এতে আল্লাহ নারায হন। আর আল্লাহ যার উপরে নারায হন, বান্দা তার উপরে রাযী হ’তে পারে না। হ’লেও তা টিকে না। বরং আল্লাহর রেযামন্দীর বিনিময়ে বান্দার সকল নারাযী বরদাশত করা যেতে পারে। নবীগণ যেটা সারা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গিয়েছেন।

অনুরূপভাবে মুখে বলছি নবীর তরীকায় শান্তি। অথচ চলছি অন্যের বানাওটি তরীকায়। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সাথে যার কোন মিল নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীকার সাথে যার কোন সামঞ্জস্য নেই। তবুও চলছি স্রোত যেভাবে চলছে।

মুখে বলছি দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করছি। বাস্তবে দেখা যায় নিজের স্বার্থরক্ষা কিংবা পেটপূর্তিই হ’ল মূল লক্ষ্য। জনগণের আমানতের কিছু অংশের দায়িত্ব পেলেই সেটাকে লুফে নিচ্ছি। দিনে-দুপুরে পুকুরচুরি করছি। শুধু তাই নয়, গদী রক্ষার জন্য দেশ বিক্রি করতেও আপত্তি নেই। অথচ সর্বদা শান্তি ও স্বাধীনতার বুলি আওড়াচ্ছি। মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলছি। অথচ কাজের বেলায় নিজে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লংঘন করছি। বিশ্বনেতা থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের নেতা পর্যন্ত সবাই একই রোগে ভুগছি। কথা ও কাজের মিল পাওয়া বিশেষ করে বর্তমান ক্বিয়ামতের যুগে বড়ই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। আল্লাহ পাক তাই বলেন,أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلاَ تَعْقِلُونَ؟ ‘তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও আর নিজেদের বেলায় তা ভুলে যাও! অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাকো। তোমরা কি বুঝো না?’ (বাক্বারাহ ২/৪৪)

মিথ্যুক ও পেটপূজারী বক্তৃতাবাজ লোকদের অবস্থা সম্পর্কে নিম্নের হাদীছটি প্রণিধানযোগ্য :

সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে,لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَخْرُجَ قَوْمٌ يَأْكُلُونَ بِأَلْسِنَتِهِمْ كَمَا يَأْكُلُ الْبَقَرُ بِأَلْسِنَتِهَا- ‘অতদিন ক্বিয়ামত হবে না, যদতিন না একদল লোক বের হবে, যারা তাদের যবান দিয়ে খাবে। গরু তার জিহবা দিয়ে খেয়ে থাকে’।[2] অন্য হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ قَالَهَا ثَلاَثًا- ‘ভাণকারীরা ধ্বংস হৌক’ তিনি এটি তিনবার বলেন’।[3] মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, এরা হ’ল ঐসব বক্তা যারা সুন্দরভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করে ও কণ্ঠনালীর গভীর থেকে শব্দ বের করে শ্রোতার মন জয় করার চেষ্টায় রত থাকে’। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, এরা হ’ল ঐসব লোক যারা সকল কাজে বাড়াবাড়ি করে থাকে’।[4] ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বক্তা ও দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের জন্য উপরোক্ত হাদীছে যথেষ্ট শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। নিজে যা নয়, তা প্রকাশকারী ও নিজের দুর্বলতা ও অযোগ্যতা ঢেকে রাখায় পারঙ্গম ব্যক্তিদের সংশ্রব থেকে দ্বীনদার মুক্তাক্বী লোকদের দূরে থাকাই শ্রেয়। ভাণকারী ব্যক্তিরা কখনোই কারো হৃদয়ে আসন করে নিতে পারে না। এমনকি ছোট্ট কচি শিশুও ভাণ করা নকল স্নেহ চিনতে পারে। ভাণকারী বকধার্মিকদের ভিড় থেকে আসল-নকল বাছাই করে তাদের সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। কেননা ক্বিয়ামতের মাঠে ‘প্রত্যেকে তার সঙ্গে উঠবে, যে যাকে মহববত করে’।[5] আর আল্লাহ পাক ভাণকারীদের পসন্দ করেন না।

দুর্ভাগ্য এই যে, সত্যকে ঢেকে রাখা, যাকে শী‘আ পরিভাষায় ‘তাক্বিয়া’ (تَقِيَّةٌ) বলা হয়, সেটা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। বিভিন্ন মাযহাব ও তরীকায় বিশ্বাসী আলেম ও পীর-মাশায়েখ-মুরববীগণ যিনি যেটাতে আছেন, সেটাকে কঠোরভাবে ধরে আছেন। এর বিপরীত সত্য তাঁর জানা থাকলেও সেটা লুকিয়ে রাখেন দুনিয়াবী মান-সম্মান, টাকা-পয়সা, পদমর্যাদা বা বিভিন্ন গোঁড়ামির কারণে। অথচ মুখে সব সময় ইসলাম, কুরআন-সুন্নাহ, নবীর তরীকা ইত্যাদির বক্তব্য চলছে। ছহীহ হাদীছের কোন সিদ্ধান্ত সামনে এলেই বিভিন্ন অজুহাতে সেটাকে এড়িয়ে গিয়ে নিজের লালিত রেওয়াজকেই তিনি টিকিয়ে রাখেন। সাধারণ মুসলমানদের চেয়ে আলেম ও পীর-মাশায়েখ-মুরববী লকবধারী ব্যক্তিদের মধ্যে এই গোঁড়ামি খুবই প্রকটভাবে রয়েছে। তাদের কথা ও কাজে অমিল যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

শাহ অলিউল্লাহ (রহঃ) বহু পূর্বেই এ বিষয়ে হুঁশিয়ার করে গেছেন। জীবন সন্ধ্যায় প্রদত্ত্ব ‘অছিয়ত নামা’য় তিনি বলেন, ফক্বীরের প্রথম অছিয়ত এই যে, উম্মতকে আক্বীদা ও আমলে কিতাব ও সুন্নাতের সাথে যুক্ত থাকতে হবে। এ দু’টি বিষয়ে গবেষণায় মশগুল থাকতে হবে। প্রতিদিন এ দু’টি হ’তে কিছু অংশ পাঠ করতে হবে। যদি পড়ার ক্ষমতা না থাকে, তাহ’লে এ দু’টি হ’তে কিছু অংশ শ্রবণ করতে হবে। আক্বীদার বিষয়ে আহলে সুন্নাতের প্রথম যুগের প্রাচীন বিদ্বানদের পথ এখতিয়ার করতে হবে।... প্রশাখাগত বিষয়ে ফিক্বহ ও হাদীছের ইলমে পারদর্শী উলামায়ে মুহাদ্দেছীন-এর অনুসরণ করতে হবে। ফিক্বহের প্রশাখাগত বিষয়গুলিকে সর্বদা কিতাব ও সুন্নাতের সম্মুখে পেশ করতে হবে। যা অনুকূলে পাওয়া যাবে, তা গ্রহণ করতে হবে। নতুবা পিছনে ছুঁড়ে মারতে হবে। ইজতিহাদী বিষয় সমূহকে বর্তমান সময়ে কিতাব ও সুন্নাতের সম্মুখে পেশ করা ব্যতীত উম্মতের কোন গত্যন্তর নেই। ‘ফক্বীহ’ হবার মৌখিক দাবীদার যারা আলিমদের তাক্বলীদ করাকে দস্তাবেয বানিয়ে নিয়েছে, হাদীছে অনুসন্ধান প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করেছে, এদের কথা শুনবে না। এদের দিকে দৃকপাত করবে না। এদের হ’তে দূরে থেকেই আল্লাহর নৈকট্য অনুসন্ধান করবে’।[6] গোঁড়ামির এই রোগ আলেমদের থেকে সংক্রমিত হয় তাদের অনুসারীদের মধ্যে। ফলে এটা একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে গেলে সত্যকে জানা ও বুঝার জন্য প্রবল ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। সেই শক্তি অর্জনের জন্য জান্নাত পিয়াসী ঈমানদার মুসলমানকে খালেছ অন্তরে আল্লাহর নিকটে তাওফীক কামনা করতে হবে। কেননা একমাত্র তিনিই হেদায়াত দানের মালিক। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন এবং কথায় ও কাজে মিল রেখে জীবন পরিচালনার তাওফীক দান করুন- আমীন![7]


[1]. বুখারী হা/৩২৬৭; মুসলিম হা/২৯৮৯; মিশকাত হা/৫১৩৯ ‘সৎকাজের নির্দেশ’ অনুচ্ছেদ।

[2]. আহমাদ হা/১৫৯৭; মিশকাত হা/৪৭৯৯ ‘বক্তৃতা ও কবিতা’ অনুচ্ছেদ; ছহীহাহ হা/৪১৯।

[3]. মুসলিম হা/২৬৭০; মিশকাত হা/৪৭৮৫, রাবী আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ)।

[4]. মিশকাত ঐ হাশিয়া।

[5]. বুখারী হা/৬১৬৯; মুসলিম হা/২৬৪০; মিশকাত হা/৫০০৮ ‘শিষ্টাচার সমূহ’ অধ্যায়।

[6]. শাহ অলিউল্লাহ, ‘অছিয়তনামা’ (ফারসী) পৃ. ১।

[7]. মাসিক আত-তাহরীক (রাজশাহী), দরসে হাদীছ কলাম, ৩/৪-৫ সংখ্যা, জানু-ফেব্রু ২০০০।